বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা
‘বুর্জ খলিফা’-র নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালে। নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার। ১২ হাজার শ্রমিকের ৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৬০ তলার এ টাওয়ার ৩ লাখ ৩০ হাজার ঘনমিটার বা এক কোটি ১০ লাখ ৫৫ হাজার ঘনফুট কংক্রিট দিয়ে নির্মিত হয়েছে বুর্জ খলিফা। এর নির্মাণে স্টিল ও কাচ ব্যবহার করা হয়েছে। ২৮ হাজার গ্লাস খন্ডের সাহায্যে নির্মিত বুর্জ দুবাই যেন মরুর বুকে এক সূর্য। দিনের আলো যখন এর বুকে এসে পড়ে তখন ঝলমল করতে থাকে। দূর থেকে মনে হয় সূর্যটা যেন দুবাইয়ের মরম্নভূমিতে নেমে এসে কিরণ ছড়াচ্ছে চারদিকে। এত বহুতল ভবনের ভিড়েও বুর্জ দুবাই দেখা যায় ৯৫ কিলোমিটার দূর থেকে।
১৬০ তলার এ ভবনে মসজিদ, সুইমিংপুল, এপার্টমেন্ট, হোটেলসহ নানা ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সমাহার রয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ মসজিদ ও সুইমিং
পুল বুর্জ দুবাইয়ের ১৫৮ ও ৭৬ তলায় অবস্থিত এর ১২৪ তলায় রয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এটাও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মর্যাদা লাভ করেছে। এই টাওয়ারের
মোট স্পেস বা জায়গার পরিমাণ ৫ লাখ বর্গফুট। বুর্জ দুবাইয়ে
যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৫৭টি অত্যাধুনিক লিফট। ১০৪৪টি বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট
আছে এতে। ১৬০ কক্ষ বিশিষ্ট
বিশাল একটি হোটেল আছে এতে। প্রায় ১২ হাজার লোক এখানে এক সঙ্গে
কাজ করতে পারে। বুর্জ
দুবাইকে ঘিরে এর আশপাশের ৫০০ একর ভূখন্ড বাণিজ্যিক এলাকায় পরিচিত হয়েছে। গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখানে বসবাসের ক্ষেত্রে
অগ্রাধিকার পাচ্ছেন আমেরিকানরা। তাদের
জন্য এই ভবনের ৯ থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত
বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া
বিলাসবহুল জীবন-যাপনের সব ধরনের সুবিধাই
এখানে রয়েছে।
দুবাইয়ের
শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল
মাকতুম ভবনটির উদ্বোধন করেন। তিনি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ
খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সম্মানে ভবনটির নামকরণ করেন বুর্জ
খলিফা।