Tuesday, June 26, 2012

বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা


সংযুক্ত আরব আমিরাত, উপসাগরীয় স্বপ্নিল দেশ যেখানে নির্মিত হয়েছে এ যুগের বিস্ময় বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন বুর্জ খলিফা। এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনবুর্জ খলিফা-র উচ্চতা ৮২৮ মিটার বা ২৭১৬ ফুট। বুর্জ খলিফা-এর উচ্চতা এক সময়কার বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন আমেরিকার এম্পয়ার স্টেট বিল্ডিং-এর প্রায় দ্বিগুণসুউচ্চ বহুতল ভবনের শহর হিসেবে দুবাই সারাবিশ্বে পরিচিত

বুর্জ খলিফা-র নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালেনির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি ডলার১২ হাজার শ্রমিকের ৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৬০ তলার এ টাওয়ার ৩ লাখ ৩০ হাজার ঘনমিটার বা এক কোটি ১০ লাখ ৫৫ হাজার ঘনফুট কংক্রিট দিয়ে নির্মিত হয়েছে বুর্জ খলিফাএর নির্মাণে স্টিল ও কাচ ব্যবহার করা হয়েছে ২৮ হাজার গ্লাস খন্ডের সাহায্যে নির্মিত বুর্জ দুবাই যেন মরুর বুকে এক সূর্য দিনের আলো যখন এর বুকে এসে পড়ে তখন ঝলমল করতে থাকেদূর থেকে মনে হয় সূর্যটা যেন দুবাইয়ের মরম্নভূমিতে নেমে এসে কিরণ ছড়াচ্ছে চারদিকে এত বহুতল ভবনের ভিড়েও বুর্জ দুবাই দেখা যায় ৯৫ কিলোমিটার দূর থেকে

১৬০ তলার এ ভবনে মসজিদ, সুইমিংপুল, এপার্টমেন্ট, হোটেলসহ নানা ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সমাহার রয়েছেবিশ্বের সর্বোচ্চ মসজিদ ও সুইমিং পুল বুর্জ দুবাইয়ের ১৫৮ ও ৭৬ তলায় অবস্থিত এর ১২৪ তলায় রয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ারএটাও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মর্যাদা লাভ করেছেএই টাওয়ারের মোট স্পেস বা জায়গার পরিমাণ ৫ লাখ বর্গফুট। বুর্জ দুবাইয়ে যাতায়াতের জন্য রয়েছে ৫৭টি অত্যাধুনিক লিফট১০৪৪টি বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট আছে এতে১৬০ কক্ষ বিশিষ্ট বিশাল একটি হোটেল আছে এতেপ্রায় ১২ হাজার লোক এখানে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে বুর্জ দুবাইকে ঘিরে এর আশপাশের ৫০০ একর ভূখন্ড বাণিজ্যিক এলাকায় পরিচিত হয়েছেগড়ে উঠেছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানএখানে বসবাসের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন আমেরিকানরাতাদের জন্য এই ভবনের ৯ থেকে ১৬ তলা পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছেএছাড়া বিলাসবহুল জীবন-যাপনের সব ধরনের সুবিধাই এখানে রয়েছে

দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম ভবনটির উদ্বোধন করেনতিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সম্মানে ভবনটির নামকরণ করেন বুর্জ খলিফা

Wednesday, May 30, 2012


সংসদ ভবন নির্মাণঃ 

১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেননকশার কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশী আর্কিটেক্ট মাজহারুল ইসলাম কেএই নকশা তৈরির কাজে তিনি যুক্ত করেন তার শিক্ষক লুই আই কান কেনিজে কাজ করেন সহকারী আর্কিটেক্ট হিসেবেসংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৮২ সালের ২৮ই জানুয়ারী৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত এই ভবনটিতে সংসদীয় কার্যক্রম শুরু করা হয় একই বছরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে